Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশে বানচাল নাশকতার ছক, হদিশ মিলল জেহাদি বম্ব ল্যাবের    

'প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ' বানানোর চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা।

Police bust Neo JMB's bomb making unit in Bangladesh
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2019 11:54 am
  • Updated:September 24, 2019 11:59 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে বানচাল নাশকতার ভয়াবহ ছক।পুলিশি অভিযানে হদিশ মিলল জেহাদি সংগঠন নব্য জেএমবি-র বোমা তৈরির গবেষণাগারের। রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জেই বিস্ফোরক তৈরির জন্য রীতিমতো ল্যবরেটরি তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠনটি।

[আরও পড়ুন: বিচার চাই, থানার সামনে শাবক নিয়ে ধরনায় একদল হনুমান]

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এক নব্য জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে ওই গবেষণাগারের কথা জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো সোমবার ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ডেরাটি থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আইডি, বিস্ফোরক তৈরির উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। রীতিমতো গবেষণা করে ‘আরডিএক্স’ বা ‘প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ’ (মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে না) বানানোর চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তবে তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল। যে বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছিল, সেটির মালিক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন ডিজিএম জয়নাল আবেদিন। অভিযানের দিন ভোরেই তার দুই ছেলে ফরিদউদ্দিন রুমি ও জামালউদ্দিন রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। একই সঙ্গে ফরিদউদ্দিনের স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মী জান্নাতুল ফোয়ারা ওরফে অনুকেও আটক করে পুলিশ। নব্য জেএমবি-র সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে আরও একজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। আটক তিনজন নব্য জেএমবি সদস্য। গত রবিবার রাতে ঢাকা থেকে জামালউদ্দিন রফিককে (২৩) আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ফতুল্লার একটি বাড়ি থেকে তার বড় ভাই আহছানউল্লা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ফরিদউদ্দিন রুমিকে (২৭) আটক করা হয়। সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন আটকরা সবাই নব্য জেএমবি সদস্য। তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে। দীর্ঘ তিনমাস ধরে নজরদারির পর নব্য জেএমবির সদস্য রুমিকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্য মতে বাড়িটিতে ভোর থেকেই অভিযান শুরু করে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।

মূলত নব্য জেএমবির সদস্যদের টার্গেট থাকে পুলিশের নিরস্ত্র সদস্যরা, যেমন ট্রাফিক পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম। তারা মূলত পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া, তাদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।  উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় একটি বাড়িতে ঘাঁটি ছিল নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিমের। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়।  কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে নিহত হয় নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরি।

[আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভয়াবহ গুলিযুদ্ধ, নিকেশ দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত দম্পতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement