সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে থাকলে উগ্র মৌলবাদীদের উত্থান হবে। সমস্যা তৈরি হবে বাংলাদেশ ও মায়ানমারে চিনের বিনিয়োগের বিষয়েও। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই আশঙ্কাই প্রকাশ করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ কে আবদুল মোমেন। পয়লা জুলাই থেকে চিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন আবদুল মোমেন।
সেখানে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বাংলাদেশের এই আশঙ্কার কথা চিনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরা হবে। চাওয়া হবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও। এছাড়া আগামী ২ ও ৩ জুলাই চিনের দালিয়ানে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ ও এশিয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৫ জুলাই পর্যন্ত বেজিংয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন। এই সফরে বাংলাদেশ ও চিনের মধ্যে মোট আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সাক্ষরিত হবে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিন মায়ানমারকে মদত দিচ্ছে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। চিনের একটি অবস্থান আছে। তারা আমাদের সাহায্য ও সমর্থন দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তবে নিরাপত্তা পরিষদে চিনের বিরোধিতার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আর চিন বললেই যে মায়ানমার শুনবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।”
এপ্রসঙ্গে প্যালেস্তাইন সংকটের উদাহরণও টানেন তিনি। বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা কার্যকর হয় না। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মায়ানমারের জনগণ। তাদের মধ্যে মুসলমান ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছেন। বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের জন্য তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে।” এরপরই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যা না মিটলে মৌলবাদের উত্থান হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.