Advertisement
Advertisement

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে গোপালগঞ্জের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, স্মরণে আন্দোলনের দিনগুলি

দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ৷

PM,President pay tribute to Bangabandhu's memorial at Gopalgunj
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 17, 2019 3:42 pm
  • Updated:March 17, 2019 3:45 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে পদ্মপাড়ে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দেশের সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক নেতৃত্ব৷ এবছর তাঁর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী৷ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী তথা মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিল আওয়ামি লিগ শীর্ষ নেতৃত্ব৷

আতঙ্ক কাটিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর নীরবতা পালন করা হয়৷ তারপর সেনাবাহিনীর বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা। ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ পরে প্রধানমন্ত্রী দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামি লিগের সভাপতি হিসেবে ফের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে নামেন। কিছুক্ষণ পর পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সকাল ১০টা ১৫মিনিটে তিন বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেয়। তারপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷

Advertisement

১৯২০ সালে ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী৷ একাধিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক মহলের এক আইকন হয়ে ওঠেন৷ যোগ্য রাষ্ট্রনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন৷

স্বামীকে বাঁচিয়ে খোয়ালেন নিজের প্রাণ, ক্রাইস্টচার্চে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বাংলাদেশি মহিলার

এরপর সেই অন্ধকার দিনগুলি৷ একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা চালায়৷ আর ২৬ মার্চ ভোরেই বঙ্গবন্ধু তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি সেনা৷ কারারুদ্ধ করে শুরু হয় বিচার৷ সেখান থেকেই স্বভূমির মানুষজনকে বার্তা পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নামার দিশা দেখান বঙ্গবন্ধু৷ সেইমতো ৯ মাস ধরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ বাহিনী। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এমন এক রাষ্ট্রনেতার জন্মদিন প্রতি বছর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ওপারের বঙ্গবাসী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement