সুকুমার সরকার, ঢাকা: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। শুক্রবার ওই ঐতিহাসিক ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখল দেশ। রাজধানী ঢাকায় প্রতীকী অবতরণ করলেন ‘বঙ্গবন্ধু’। আর সেই দৃশ্য দেখে আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানা।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি প্রতিবছরই উদযাপন করে বাংলাদেশ। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আয়োজনে প্রতীকী বিমান অবতরণ ছাড়াও ছিলে আলোক প্রক্ষেপণে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব তুলে ধরা, ২১বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার। ১৯৭২ সালে যেভাবে এদেশের সংগ্রামী জনতা বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিয়েছিল, প্রতীকীভাবে সেই ক্ষণটিও ফুটিয়ে তোলা হয়। ওড়ানো হয় এক হাজার লাল-সবুজ বেলুন এবং অবমুক্ত করা হয় একশ’টি সাদা পায়রা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করত না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না।” প্রধানমন্ত্রী আর বলেন, “৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।”
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ব্যতিক্রমী উদযাপনে রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর সেই প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা দেখে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা-সহ সবার মধ্যেই একটি আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার ঘড়িও উদ্বোধন করেন তিনি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তটিকে প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.