শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সুকুমার সরকার, ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বীর শহিদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার সকালে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে ঢাকার সেনানিবাসে উপস্থিত হন তাঁরা। তারপর ‘শিখা অনির্বাণ’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদান দেওয়া শহিদদের স্মৃতিতে কিছুক্ষণ নীরবতাও পালন করেন।
সকালে প্রথমে ঢাকার সেনানিবাসে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান নৌ, বিমান ও স্থল বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। এরপর শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। পরে তাঁকে বিউগেল বাজিয়ে অভিবাদন জানান তিন বাহিনীর বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল। রাষ্ট্রপতির পর সেনানিবাসে গিয়ে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির মতোই তাঁকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান স্থলসেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মহম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরি, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত-সহ অন্যরা। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দু’জনেই শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানানোর পর সেনানিবাসের ভিজিটার বুকে সই করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে স্থল, বিমান ও নৌ বাহিনী তৈরি করে একসঙ্গে আক্রমণে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রায় একমাস পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। পাক সেনাদের বিরুদ্ধে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী তৈরি করার ফলেই মুক্তিযুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছিল বলেই মনে করা হয়। তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে সরকার। এবছরও মহাসাড়ম্বরে তা পালিত হল ঢাকার সেনানিবাসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.