সুকুমার সরকার, ঢাকা: বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে পিঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় নেমে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বচসাতেও জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন জায়গা পৌঁছেছে যে পিঁয়াজ নিয়ে তৈরি হওয়া গন্ডগোল মেটাতে পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।
গত বুধবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ঢাকার অদূরে অবস্থিত গাজীপুরের একটি রেঁস্তরায়। এক যুবক গিয়েছিলেন কচুরি খেতে। তার সঙ্গে পিঁয়াজ না দেওয়ায় রেস্তরাঁর কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এপ্রসঙ্গে শাওন নামে ওই যুবক বলেন, ‘কচুরির সঙ্গে পিঁয়াজ হলে খেতে ভাল লাগে। তাই আমি একটু পিঁয়াজ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। হোটেলের লোকজন তা দিতে রাজি হননি। আমি আলাদা করে পিঁয়াজের দাম দিতে চেয়েছিলাম। তারপরও ওরা পিঁয়াজ দেননি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হতে হতে হাতাহাতি হয়। পরে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।’
যদিও তাঁর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোটেলের কর্তৃপক্ষ। ফয়েজ নামের ওই হোটেলের এক কর্মচারী বলেন, ‘আমরা পিঁয়াজ দিতে চাইনি কথাটি ঠিক নয়। মূলত পিঁয়াজ দিতে দেরি হওয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, বিষয়টি আসলে পিঁয়াজের কারণে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তখন পিঁয়াজ বয়কটের ডাক দিলেন সিলেটের একদল গৃহবধূ। দাম বাড়ার প্রতিবাদে আগামী ১০ দিন পিঁয়াজ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিলেটে মানববন্ধন করলেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে সিলেটে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদী গৃহবধূরা বলেন, ‘প্রতিদিনই পিঁয়াজের দাম বাড়ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পিঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। এর প্রতিবাদে আগামী ১০ দিন আমরা পিঁয়াজ কিনব না ও রান্না করব না। দেশের সব মহিলাকে এই বিষয়ে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.