Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dhaka

ঢাকায় পাতালপথে আরও সুবিধা, মেট্রোর দোরগোড়ায় তৈরি হচ্ছে পার্কিং লট, থাকছে স্ন্যাকস কর্নারও

জাপানি সংস্থার সাহায্যে প্রায় ৩৩,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।

Parking lot and snacks corner will be available at metro rail stationa in Dhaka | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 21, 2022 5:16 pm
  • Updated:August 21, 2022 5:16 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকায় (Dhaka) পাতালপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও সুবিধা। এবার চারটি মেট্রো স্টেশনের কাছে তৈরি হচ্ছে স্টেশন প্লাজা, পার্কিং লট। যাত্রীরা চাইলে নিজের গাড়ি একেবারে স্টেশনের সিঁড়ি বা লিফটের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারবেন। তারপর সেখানে গাড়ি রেখে উঠতে পারবেন মেট্রোয়। এছাড়া বাস, ট্যাক্সি, অটোরিকশা – এসব গণপরিবহণে আসা যাত্রীরাও দূরে নয়, একেবারেই স্টেশনের কাছে এসে নামতে পারবেন। এতে সড়ক ও পাতালপথে যোগাযোগের সমন্বয় অনেকটা বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

এই গোটা ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘স্টেশন প্লাজা’। এসব জায়গায় হালকা টিফিন করা অর্থাৎ স্ন্যাকস (snacks) খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির সূত্র জানায়, উত্তরা (উত্তর), আগারগাঁও, ফার্মগেট, কমলাপুর – এই চারটি স্টেশনে প্লাজা নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উত্তরা (উত্তর) ও কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীরা চাইলে তাঁদের প্রাইভেট কার দীর্ঘ সময়ের জন্য পার্কিং (parking) করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য তাঁদের নির্ধারিত হারে টাকা দিতে হবে। এই দুটি স্টেশনে আন্ডারগ্রাউন্ড ও মাটির ওপরে বহুতল পার্কিং নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হারানো টিয়ার খোঁজে থানায় অভিযোগ মালিকের, দু’সপ্তাহ পর বর্ধমান থেকে উদ্ধার পোষ্য]

ঢাকা মেট্রো পথে প্রথম স্টেশন উত্তরা (উত্তর)। এর পাশেই মেট্রোরেলের ডিপো রয়েছে। সেখানে ডিএমটিসিএলের নিজস্ব জমিও আছে। ওই জমিতেই একটা পরিবহণ টার্মিনালের মতো নির্মাণ করা হবে। এতে গণপরিবহণ এসে যাত্রী নামানো ও ওঠানোর কাজ করতে পারবে। প্রাইভেট কার যাত্রী নামিয়ে চলে যাবে। চাইলে কেউ দীর্ঘসময়ের জন্য টাকা দিয়ে গাড়ি রাখতে পারবেন। একই ব্যবস্থা থাকবে কমলাপুর স্টেশনে। এই স্টেশনটি হবে বর্তমান কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছেই। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পাতালপথে মোট ১৭টি স্টেশন তৈরি হবে। এই প্রকল্প বাবদ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ডিএমটিসিএল।

[আরও পড়ুন: ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’, এবার মমতা-অভিষেকের যৌথ ছবি দিয়ে নতুন পোস্টার শহরে]

সবমিলিয় ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। জাপানের (Japan) আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা অর্থ লগ্নি করেছে এতে। সর্বশেষ ব্যয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, তাতে জাইকার দেওয়ার কথা ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। সরকার খরচ করবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। শুরুতে জাইকার দেওয়ার কথা ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement