খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে পাক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে চরমে হিন্দু নিপীড়ন। ভাঙচুর করা হচ্ছে মন্দিরে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি-দোকানপাট। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে ভারতের। আর এই পরিস্থিতিতে জল মাপতে শুরু করেছে পাকিস্তান! হাসিনাহীন বাংলাদেশে বিএনপি, জামাতের মতো দলগুলোর সঙ্গে ফের সম্পর্ক মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসলামাবাদ।
শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে পাকিস্তানের কলকাঠি নাড়ার নানা তত্ত্ব উঠে এসেছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হতেই বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে শুরু করে পাকিস্তান। হাসিনা গদি হারানোর কয়েকদিন মধ্যেই খালেদা জিয়ার দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাক প্রতিনিধিরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ফের একবার যখন উত্তাল বাংলাদেশ, ঠিক তখনই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার গুলশনে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান পাক রাষ্ট্রদূত মারুফ। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই প্রতিনিধি। বিএনপির তরফ থেকে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। প্রায় দেড় ঘণ্টা নানা বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন।
এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে জানান জাহিদ হোসেন। তাঁর বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন পাক রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, জিয়াউর রহমানের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, শেখ হাসিনা এবং বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এখানেই উদ্বেগ বেড়েছে আওয়ামি লিগের। অশান্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এহেন তৎপরতা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতেরও।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে জামাত, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলো। তাদের বাড়বাড়ন্তে বিপন্ন হিন্দুরা। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার জামাত-হেফাজতে। চুপ নেই বিএনপিও। যে হারে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে তাতে বহু হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। ভারতীয় হিন্দু জানলে সেই অত্যাচারের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ছে। এদিকে জামাতের মতো দলের কাছে হাত-পা বাঁধা ইউনুস সরকারের। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। বাংলাদেশে যদি ‘হিন্দুশূন্য’ হয়ে যায় তাহলে চাপ বাড়বে ভারতের উপর। ফের পদ্মাপারে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে ইসলামাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.