সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে ঢুকছে পাকিস্তানে তৈরি জাল নোট। ভারতীয় অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে রচিত এই ষড়যন্ত্র ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিরাপত্তামহলে। জাল নোট পাচারের এই রুটের অন্যতম কেন্দ্র হচ্ছে ঢাকা। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল ভারতীয় মুদ্রা। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, জাল নোট পাচারচক্রটি খেলনা, শুঁটকি মাছ, মোজাইক পাথর-সহ বিভিন্ন পণ্যের ভেতরে ভারতীয় জাল টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে যেত। তারপর ওই জাল টাকা সুযোগ বুঝে তাদের চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হত। তিনি জানান, প্রতি ১ লক্ষ ভারতীয় জাল নোট ৩৮ হাজার টাকায় কিনে ৪০-৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করত ধৃতরা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার ডেমরা ও হাজীবাগ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় জাল নোট-সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলার সরকারি গাড়ি চালক আমানুল্লাহ ভুঁইয়া (৫২), তার দ্বিতীয় স্ত্রী আইনজীবী কাজল রেখা (৩৭), ইয়াসিন আরাফাত কেরামত (৩৩), নোমানুর রহমান খানকে (৩১) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
পুলিশ জানিয়েছে, জাল রুপি পাচারকারী এই চক্রের কেন্দ্রে আছে মূলত দু’টি পরিবার। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা এলাকায় একটি পরিবার থাকে। এই পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এক সময় পাকিস্তানের বসবাস করত। বর্তমানে এই পরিবারের সদস্য ফজলুর রহমান পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করে। সে পাকিস্তান কেন্দ্রিক মাফিয়াদের কাছ থেকে উন্নত মানের জাল নোট সংগ্রহ করে বিভিন্ন উপায়ে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ পাঠাত। তদন্তে জানা গিয়েছে, জাল নোট পাচারের কাজে ফজলুর রহমানের ভাই সাইদুর রহমান, নোমানুর রহমান এবং ভগ্নিপতি শফিকুর রহমান সহায়তা করত। তারা ইম্পোর্টারদের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসব টাকা আনত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.