সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দামে কম, মানে ভাল…’, বাকিটা আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। রাতারাতি ঠিক এই ট্যাগ লাইন দিয়েই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল কাকলী ফার্নিচারের ভিডিওটি। প্রতিটি পোস্টের কমেন্টেই ঘুরেফিরে উঁকি দিচ্ছিল ‘কাকলী ফার্নিচার’। কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটি এতখানি ভাইরাল হল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। আবার এনিয়ে অতিরিক্ত ‘লাফালাফি’তে বিরক্তও হয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু এই জনপ্রিয়তার জেরে যে ব্যক্তিগত জীবনে এমন উটকো ঝামেলা এসে জুটবে, তা হয়তো কল্পনাও করেননি আসবাব দোকানের মালিক। থানা-পুলিশ করে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা তাঁর।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল দু’টি বাচ্চা মেয়েকে। কখনও তারা দোকানের আরামকেদারায় দুলছে তো কখনও সোফার উপর লাফাচ্ছে। আর পিছনে ভাসছে ওই দুটি লাইন। ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলী ফার্নিচার।’ বাংলাদেশের ভিডিওটির জনপ্রিয়তাই কাল হয়ে উঠল মালিকের কাছে।
কিন্তু কী এমন হল, যার জন্য থানা পর্যন্ত গড়াল জল? আসলে ‘কাকলী ফার্নিচারে’র ভিডিও জনপ্রিয় হওয়ার পরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটির নামে ফেসবুকে একাধিক ভুয়ো প্রোফাইল এবং পেজ তৈরি করা হয়েছে। আর সেই কারণেই সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করার জন্য থানায় ছুটে যেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। কাকলী ফার্নিচারের চেয়ারম্যান সোহেল রানা গাজিপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রোফাইল আর পেজ তৈরি করছে। কাকলী ফার্নিচারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত অনেকেই। তারাই এই ধরনের কাজ করছে। তাঁর দাবি, এর জন্য ক্ষতির মুখে পড়তে পারে প্রতিষ্ঠান। কারণ তাদের নাম করে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হতে পারে।
ওই থানার আধিকারিক খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, কাকলী ফার্নিচারের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। কে বা কারা এমনটা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাইবার টিমের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.