সুকুমার সরকার, ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত ও বাংলাদেশ লকডাউন (Lockdown) চলছে। এর ফলে প্রায় ২ মাস ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ ছিল বাণিজ্য। সম্প্রতি ফের ভারত থেকে পিঁয়াজের চালান আসা শুরু করেছে। মালবাহী ট্রেনে করে লকডাউনের পর শনিবারই প্রথম পিঁয়াজ এসেছে বাংলাদেশে।
শনিবার পিঁয়াজবাহী প্রথম ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। কাস্টমসের ছাড়পত্র পেলে ৪২ বগি পিঁয়াজ সুবিধাজনক স্থানে আনলোড করা হবে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে থাকা চারটি রেলওয়ে পয়েন্ট দিয়ে আরও কিছু মালবাহী ট্রেন নিত্যপণ্য নিয়ে আসবে।
এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত খুলে দিতে চাইছে না। তাই পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে চাল ঢুকতে না পারলেও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এরই মধ্যে ভারত থেকে আসা চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তেও চাল ভরতি বেশকিছু ট্রাক অপেক্ষা করছে। রাজ্য সরকারের অনুমতি মিললেই চালবোঝাই ওই ট্রাকগুলি প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে চাল আসতে দিতে চায় না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েনের পর ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে স্থলবন্দর দিয়ে চাল পরিবহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, এই নির্দেশের পরে সীমান্ত দিয়ে চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল বোঝাই ট্রাক পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে থাকায় মালবাহী কোম্পানিগুলিকে প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে। তবে ২০ মে-র পর ট্রাকগুলি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাঞ্জাব থেকে বাসমতি চাল, হরিয়ানা থেকে গোবিন্দভোগ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্যান্য চাল আমদানি করে বাংলাদেশ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনার কারণে ৬ মাস ফ্রি রেশন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরপরই সেখানে বিভিন্ন জাতের চালের দাম কমে গিয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশে চাল রপ্তানি শুরু হলে পশ্চিমবঙ্গে চালের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.