সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুজো এল বলে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চুটিয়ে খানাপিনা না করলে কার্যত জাত যাবে বাঙালির। তা রসনা যতই লকলক করুক না কেন, বাজারে গিয়ে কার্যত ভিরমি খেতে হচ্ছে। সর্ব পদের কাণ্ডারি পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখে জল দুই বাংলার মানুষেরই। সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশে পেঁয়াজ বিকোচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকা দরে।
[আরও পড়ুন: ভাঁড়ারে টান, আধা সেনাদের রেশন ভাতা বন্ধ করার ঘোষণা কেন্দ্রের]
রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত ভারত থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করেন তাঁরা। পড়শি দেশ হওয়ায় দ্রুত তা আনাও যায়, পরিবহণ খরচও কম পড়ে। আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, ভারত অনেক সস্তায় সেই পেঁয়াজ রপ্তানি করে। তবে, সদ্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে নয়াদিল্লি। ফলে পুজোর মরশুমে তরতর করে বাড়ছে দাম। রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। ভারত ও মায়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। খুচরো বাজারে দেশি আর ভারতীয় পেঁয়াজের দামের কোনও ফারাক নেই। সব পেঁয়াজই এখন কেজি প্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, রবিবার দুপুরেও এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭২ টাকায়। সন্ধ্যায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ টাকায়। মঙ্গলবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রবিবার রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রক। ওই সিদ্ধান্ত রাতারাতি কার্যকর করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরটি রবিবার বেলা তিনটে নাগাদ ভোমরা ও সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে আসে। তখনই বাংলাদেশের পথে থাকা সব ট্রাক আটকে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আর এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে সময় লাগেনি। কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। রবিবার বিকেলেও এসব বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭৫ টাকা দরে। এদিকে বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যদিকে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন: চুলের খোঁপায় ইয়াবা মাদক পাচার তরুণীর, অভিনব কায়দা ফাঁস করল পুলিশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.