সুকুমার সরকার, ঢাকা: কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জটে আটকে ছিল এতদিন। পিঁয়াজবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। কিন্তু শনিবারই বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিয়ম শিথিল করে বন্ধুত্বের স্বার্থে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ ওপারে পাঠায় ভারত। আর রবিবার সকালে সীমান্ত পেরিয়ে ট্রাক ঢুকতেই খুশির হাওয়া বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারগুলিতে। প্রতি কেজি প্রায় ৫ থেকে ১০ টাকা পিঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় (Onion price reduced by Rs.10/Kg) ছুটির দিন বাজারে গিয়ে আর ছ্যাঁকা খেতে হল না মধ্যবিত্তকে। রমরমিয়ে বিক্রি হল পিঁয়াজ।
রবিবার পাইকারি ও খুচরো – উভয় বাজারেই পিঁয়াজের দাম গড়ে ১০ টাকা কমেছে কেজি প্রতি। আগে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল গড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। ভারতের পিঁয়াজ বাজারে আসায় তারও দাম কমল। এখন কেজি প্রতি ভারতীয় পিঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুলনায় দেশি পিঁয়াজের দাম বেশি – ৭৫ টাকা প্রায়। এছাড়া অঞ্চলভেদে এই দামের রকমফের রয়েছে। ঢাকার শ্যামবাজার পাইকারি বাজারে ভারতীয় পিঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে তা প্রতি কেজি ৫ টাকা লাভ করছেন বিক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখনও কিছু ট্রাক সীমান্তে আটকে রয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশে ঢুকলে বাড়বে পিঁয়াজের জোগান। তখন দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকারও নিচে নামতে পারে বলে তাঁদের আশা।
তবে আশঙ্কাও আছে। সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় পিঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলি দাঁড়িয়েছিল। তাতে পিঁয়াজ কতটা নষ্ট হয়েছে, সে বিষয়ে সংশয় থাকছে ব্যবসায়ীদের একাংশের। জানা গিয়েছে, ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাংলাদেশের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার ফের ভারতের (India) পিঁয়াজ ঢুকতে থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
মায়ানমার থেকেও আসছে পিঁয়াজ। ফলে জোগান এখন যথেষ্ট। তাই বাড়তি দাম নিয়ে যাতে সাধারণ ক্রেতাদের সমস্যায় না ফেলা হয়, সেদিকে কড়া নজর দিচ্ছে প্রশাসন। পেট্রাপোল, হিলি সীমান্ত থেকে চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা বন্দর এলাকা থেকে পিঁয়াজভরতি ট্রাক থেকে তা বাজারে যাওয়ার পরই শুরু হচ্ছে নজরদারি। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ঘুরে পিঁয়াজের দামের হিসেব নেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.