সুকুমার সরকার, ঢাকা: অস্ট্রিয়ার রাজধানী শহর ভিয়েনায় (Vienna) সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল সেখানকার পুলিশ। ওই ব্যক্তির দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, জেহাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসে যোগ দিয়েছিল। এই বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভিয়েনা পুলিশ।
গত সোমবার বন্দুকবাজ ভিয়েনার রাস্তায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। পরে আইএস’র (ISIS) পক্ষ থেকে এই হামলার দায় স্বীকার করে টেলিগ্রামে ছবি-সহ একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ভিয়েনা পুলিশ। মোবাইল ফোনের ফুটেজ দেখে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী এই চোদ্দ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি যুবক। অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কার্ল নেহামার বলেন, ”হামলাকাণ্ডে ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।” ভিয়েনার পুলিশ প্রধান গেরহার্ড পুয়ার্স্টেল জানান, বাংলাদেশ, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া, তুরস্ক বা রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিকসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার দিন পুলিশের গুলিতে যে ব্যক্তি মারা গেছে, সেও অস্ট্রিয়া ও উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার দ্বৈত নাগরিক। এলোপাথাড়ি গুলিযুদ্ধের পর পুলিশের গুলিতে ওই ব্যক্তি মারা যায়। জানা গিয়েছে, তার জন্ম ভিয়েনায়। নিহত তরুণ আইএস’র সদস্য। এর আগে অপরাধমূলক কাজে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে ছিল। পরে মুক্তি পেয়ে ফের ভিয়েনা হামলা। ওইদিন ফুটেজ দেখেও ভিয়েনার বন্দুকধারীকে নিশ্চিত করা হয়। তার আগে এ নিয়ে অস্ট্রিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী নানা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিল। ধৃত বাংলাদেশি তরুণের আগের কোনও অপরাধের রেকর্ড ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবেই বা সে এই হামলায় জড়াল, তাও জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.