ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ইলিশে জোয়ার এসেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে একটি ট্রলারেই উঠল ৬ হাজারের বেশি ইলিশ মাছ (Hilsa)। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গভীরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ২১ জন জেলে। শনিবার তাঁদের জালে ধরা পড়ল ৬১২২টি ইলিশ। আর রবিবার নুনিয়াছটা ফিশারি গেটে সেই মাছ বিক্রি করে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তাঁরা। স্বভাবতই খুশি যেন আর বাঁধ মানছে না। এই মরশুমে রুপোলি শস্য জীবনে সচ্ছলতা নিয়ে এসেছে, এমনই বলছেন মৎস্যজীবীরা।
এফবি মায়ের দোয়া নামে ট্রলারটির (Traller) মাঝি আবদুল নবি বলেন, ”সাতদিন আগে ট্রলার নিয়ে ২১ জন জেলে সাগরে নেমেছিলেন। মহেশখালি, কুতুবদিয়া চ্যানেলের বিপরীতে বিশাল সাগরের কোথাও কোনও ইলিশের সন্ধান পাচ্ছিলেন না তাঁরা। গত শুক্রবার ট্রলার নিয়ে তাঁরা ছুটে যান টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন উপকূলের দিকে। সেখানে বেশ কিছু ইলিশ ধরা পড়ে। এরপর ইলিশের সন্ধানে তাঁরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গভীর সাগরে জাল ফেলে পান ৬ হাজার ১২২ ইলিশ। সব ক’টি ইলিশের ওজন ৯০০ গ্রামের বেশি হলে বেচাবিক্রি বেড়ে ১৫ লক্ষে দাঁড়াত। এখন পেয়েছেন ৯ লক্ষ টাকার বেশি।”
ট্রলারের মালিক শহরের নুনিয়াছটার মহঃ নুরুল আলম। তিনি জানাচ্ছেন, শীতের ইলিশের ওজন কিছুটা কম। বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। কয়েকটি ৯০০ থেকে ৯৭০ গ্রামের। সব ইলিশ বিক্রি করে পাওয়া গেছে ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ট্রলারের জেলেদের বক্তব্য, গত দেড় মাস ধরে সাগরে কোনও ইলিশ ধরা পড়েনি। ট্রলার নিয়ে তিন দফায় তাঁরা ২৮ দিন সাগরে জাল ফেলেন। তাতেও ইলিশের নাগাল পাননি ট্রলারটির জেলেরা। এখন এক ট্রলারে ৬ হাজার ইলিশ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে শয়ে শয়ে ট্রলার সাগরে নেমে পড়ছে।
রবিবার ফিশারিঘাটের চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরে ঘাটে ভিড়েছে ২০টির বেশি ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারে ইলিশের পাশাপাশি রয়েছে সামুদ্রিক মাছ গুইজ্যা, মাইট্যা, রূপচান্দা, চাপা, রাঙাচকি, কামিলা, পোপা মাছ। ব্যবসায়ীরা ট্রলারের ইলিশ কিনে প্রথমে বরফ দিয়ে কার্টুন ভরতি করেন। তারপর ট্রাকবোঝাই করে সরবরাহ করছেন ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.