সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন বাংলাদেশের কর্ণফুলি নদী। গত বৃহস্পতিবার দু’টি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রায় ১০ টন জ্বালানি তেল পড়ে ওই নদীতে। তারপর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তেলের চিটচিটে পরত। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি মরা মাছের দেখা মিলেছে নদীটিতে উল্লেখ্য, বিপন্ন বাংলাদেশি ডলফিনের প্রজননের জায়গা হচ্ছে কর্ণফুলি নদী। তেলের জন্য তাদেরও জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, জলজ প্রাণী এবং নদীর পরিবেশ ইতোমধ্যে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। শীঘ্রই নদীতে থেকে ওই তেল সাফ না করলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ ডলফিন অয়েল জেটি থেকে তেল নিয়ে যাওয়ার পথে তেলবাহী জাহাজ দেশ-১-এর সঙ্গে সিটি-৩৮ নামে অন্য একটি জাহাজের ধাক্কা লাগে। যার ফলে জ্বালানি নিয়ে যাওয়া জাহাজটির তিন নম্বর ট্যাংক ফুটো হয়ে যায়। এর পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটি থেকে অন্য জাহাজে তেল সরিয়ে ফেলা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রচুর পরিমাণে ডিজেল কর্ণফুলী চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিমাণ ১০ টন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ দু’টিকে আটক করে কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর তৎপর হয়েছেপ্রশাসন। নদী থেকে দ্রুত তেল সাফ করার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার পর্যন্ত তার আট টনের জল মিশ্রিত তেল নদী থেকে তোলা হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, এখনও নদীর বিভিন্ন অংশে তেল বসতে দেখা যাচ্ছে। সঠিনীয়র মরা মাছও দেখতে পেয়েছেন। সদ্য কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্বরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরি। এভাবে চলতে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে এই নদী আর থাকবে কিনা, তা নিয়ে ঘোর সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা এই নদীর ভবিষ্যৎকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিলো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন: স্নাতক হতে আটজন ডামি পাঠিয়ে টুকলি, ধরা পড়ল বাংলাদেশের সাংসদ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.