Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশ

করোনায় টালমাটাল বাংলাদেশ, ঘরে বসেই নমাজ পড়ার নির্দেশ হাসিনার

বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

Offer Namaz from home, urges Bangladesh PM amid crona threat

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 7, 2020 10:01 am
  • Updated:April 7, 2020 10:01 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে মসজিদে না গিয়ে ঘরেই নমাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও উপাসনালয়ে জমায়েত না হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে প্রার্থনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানেও সমবেত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওয়াজ মেহফিল, তফসির মেহফিল, তবলিঘি তালিম বা মিলাদ মেহফিলের আয়োজন করা যাবে না বলেও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই এলাকাগুলি ও এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[আরও পড়ুন: ‘নিজেকে জেলবন্দি মনে হচ্ছে’, লকডাউনে মন ভাল নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসের]

এদিকে গণসংক্রমণের প্রথম পর্যায় থেকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে এবং এই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার বিস্তার ঠেকাতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানী ঢাকার সব দোকান, কাঁচাবাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম। তবে সন্ধ্যার পর শুধু ওষুধের দোকান খোলা রাখা যাবে। বাংলাদেশে রোগ-তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪। ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেও ঘরে ফিরতে পারলেন না ৪৪ জন তবলিঘি জামাতি। তাঁদের ঠাঁই হল ২৪ পরগনা জেলার হরিদাসপুর সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশ সীমান্তের বেনাপোলে।

Advertisement

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলি জানান, ভারত ফেরত ৪৪ জন বাংলাদেশির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় করোনার কারণে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সুমন চাকমা। সুমন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। করোনার চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে তাঁর দিকে নজর দেননি চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পথ অনুসরণ করে লঘু অপরাধীদের কারামুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। গত সপ্তাহেই এপার বাংলায় করোনার সতর্কতার জেরে অপরাধীদের প‌্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে হত্যা, ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলায় যুক্ত আসামিরা হাসিনার এই ঘোষণার আওতায় নেই। যারা দীর্ঘদিন জেল খেটেছে ও যাদের সাজা কমে এসেছে তাদের-সহ ৩ হাজার বন্দির সম্ভাব্য মুক্তির তালিকা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশে স্থগিত তবলিঘি জামাতের কার্যক্রম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement