সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানুষের চলাচল যত বাড়বে, করোনা ভাইরাস (Corona virus) -এর সংক্রমণের ঝুঁকি ততই বেশি হবে বলে আগেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষ লকডাউন ঠিকঠাক না মানার ফলে পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করছে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই সরকারের তরফে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হলেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে। এর ফলে আগামী ২১ দিন বাংলাদেশের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক হতে পারে বলে মন্তব্য করা হচ্ছে।
রবিবার একদিনে ৮৮৭ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এটা নতুন রেকর্ড। পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বলছেন, আগামী তিন সপ্তাহ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময়ে ব্যাপক হারে এই মারণ ভাইরাসটির সামাজিক সংক্রমণ হতে পারে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের নেই কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন। তাই জনসচেতনার কোনও বিকল্প নেই। বাঁচতে চাইলে সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কিন্তু বাস্তবচিত্র হচ্ছে, সরকারের তরফে লকডাউন শিথিল করার পর ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছে প্রচুর মানুষ। রাস্তাঘাট, বাজার, শপিংমল ও বিভিন্ন দোকান-সহ অলিগলিতে গতকাল থেকে অনেক মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচলও অনেক বেড়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল ও জনসমাগম যত বাড়বে, করোনা ভাইরাসের ছড়ানোর ঝুঁকি ততই বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। দেশে সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখনই শিথিল করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। অধিকাংশ সরকারি স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোও খোলার অপেক্ষায়। শ্রমিকরা ঢাকায় আসছেন দলে দলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রাখার সময় বাড়ানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ইফতার বিক্রির অনুমতি। গতকাল থেকেই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। এসব সিদ্ধান্তে অনেক বিশেষজ্ঞ সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.