Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anti-Hindu violence

বাংলাদেশের চৌমুহনীর মন্দিরে মৌলবাদীদের হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

দেশের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা।

New revelation on Bangladesh Anti-Hindu violence | Sangbad Pratidin

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ

Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:November 8, 2021 3:39 pm
  • Updated:November 8, 2021 3:39 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্গাপুজোয় হিন্দুবিরোধী দাঙ্গায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাণ্ডব চলে নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরেও। এবার ওই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়া উসকনিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই হিংসা ছড়ায়। অর্থাৎ গোটা ঘটনাটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের জঙ্গলে অস্ত্র কারখানার হদিশ, কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ৩ রোহিঙ্গা]

সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই চৌমুহনীর মন্দিরে লুট ও হামলা হামলা চালানো হয়। মন্দিরের পূজার সামগ্রী লুটপাট করা হয়। হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, মণ্ডপ, ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলার ঘটনায় জড়িত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশের এলিট ফোর্স।

Advertisement

র‍্যাব আরও জানিয়েছে, রংপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মন্দিরে হামলার ঘটনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। এসব ভিডিও দেখে চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা চালানো হয়। হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল- মনির হোসেন রুবেল, জাকের হোসেন রাব্বি, মহম্মদ রিপন ও নজরুল ইসলাম সোহাগ। রোববার ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও নোয়াখালি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, মন্দিরে হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। বাংলাদেশকে অশান্ত করে তুলতে বিরাট ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডে বিএনপির সঙ্গী ছিল মৌলবাদী দল জামাতও। এমনটাই অভিযোগ করেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের পাশে আছে আওয়ামি লিগ’, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আশ্বাস শাসকদলের নেতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement