সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রতীক্ষার অবসান। মুজিববর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে শুক্রবার সাড়ে দশটা নাগাদ দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শতবর্ষ। একেই ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালন করছেন বাংলাদেশবাসী। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মাস কয়েক আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি দেখেশুনে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সফরসূচি নিশ্চিত করা হয়। সেইমতো শুক্রবার সকালেই ঢাকা পৌঁছে যান নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরেই স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। বিমানবন্দর থেকেই মোদি চলে যান জাতীয় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে। সেখানে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর ভিজিটর্স বুকে বিস্তারিতভাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লেখেন। পরে সেখানে একটি চারাগাছ রোপন করেন মোদি।
এরপর মোদি চলে যান ঢাকার এক হোটেলে। সেখানে বাংলাদেশের প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন, কথাবার্তাও বলেন। এক শিশুর সঙ্গেও তিনি কথা বলেন, আদর করে আশীর্বাদ দেন ওই খুদে কন্যাকে। আজ দিনভর তিনি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। ২৭ তারিখ অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি যাবেন ওঁড়াকান্দি, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায়। ওইদিনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বৈঠক। এই বৈঠক নিয়ে খুবই আশাবাদী বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কথায়, ”শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দু’দেশের সম্পর্ককে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আশা করি, নিজেদের মধ্যে যেসব জটিল সমস্যা রয়েছে, তা এই আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান খুঁজে পাবে।” সূত্রের খবর, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি-সহ একাধিক বিষয়ে হাসিনা-মোদির আলোচনা হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.