সুকুমার সরকার, ঢাকা: পাকিস্তান থেকে শুরু করে মায়ানমার৷ সেনা যে দেশেরই চালিকাশক্তি হয়, সেখানে গণতন্ত্র মুখোশ মাত্র৷ চোখে আঙুল দিয়ে ফের এই কথাই প্রমাণ করলেন কাউন্সিলর আং সান সু কি৷ সেনার ‘ইঙ্গিতে’ রাষ্ট্রসংঘের একটি প্রতিনিধি দলকে হিংসায় জর্জরিত উত্তর রাখাইন পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি তাঁর প্রশাসন৷
[দুষ্কৃতীদের চুয়াত্তরটি গুলিতে দৃষ্টিহীন ওরাংওটাং, নিহত তার এক মাসের সন্তান]
জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে উত্তর রাখাইন পরিদর্শনে যেতে চেয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর একটি প্রতিনিধি দল৷ তবে অশান্ত পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সু কি প্রশাসন৷ সদ্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থাটির সহকারী কমিশনার ভোলকার তুর্ক৷ তিনি জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গারা কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ কতটা স্বাভাবিক তাও স্থির করা হবে৷ তবে বিশদে পরিস্থিতি যাচাই করতে গেলে রাখাইন প্রদেশ পরিদর্শন করা জরুরি৷ অথচ সেখানে সেনা ও উগ্রপন্থীদের মধ্যে চলা সংঘাতের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন৷ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, মায়ানমার সরকারের তিনি যে ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল৷ এদিকে রোহিঙ্গা তহবিল নয়ছয় নিয়ে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তুর্ক বলেন, দুর্নীতির কোনও ইভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাখাইন প্রদেশে এই মুহূর্তে কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা বা সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি চাইছে না বার্মিজ সেনা৷ বিশেষ করে উত্তর রাখাইনে এখনও পাওয়া যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের গণকবর৷ অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে চলা ‘জঙ্গিদমন’ অভিযানের নাম গণহত্যা ও গণধর্ষণে লিপ্ত হয়েছে বার্মিজ সেনা৷ সেই নির্যাতনের ছাপ ছড়িয়ে সর্বত্র৷ ফলে গণকবরের ছবি বা অন্য প্রমাণ সামনে এলে প্রবল বিপাকে পড়তে হবে সু কি সরকার ও বার্মিজ সেনাকে৷ তাই একপ্রকার লৌহবর্মে মুড়ে রাখা হয়েছে রাখাইনকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.