Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা তৈরি করছে বাংলাদেশ, দাবি মায়ানমারের

ফেরত নিলেও রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত ক্যাম্পে রাখবে বার্মিজ সরকার৷

Bangladesh complicating Rohingya issue: Myanmar
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 24, 2018 1:26 pm
  • Updated:August 24, 2018 1:26 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে উলটো সুর মায়ানমারের৷ শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে নাকি বাধা সৃষ্টি করছে খোদ বাংলাদেশ৷ এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি৷ তাঁর এহেন বয়ানে প্রবল ক্ষুব্ধ ঢাকা৷   

[মারণ ‘মোমো’ রুখতে সচেতনতার দাওয়াই পুলিশের]

Advertisement

রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সু কি৷ তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে মায়ানমার৷ এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বাংলাদেশ৷ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব ঢাকার৷”  সু কি-র এহেন বয়ানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হাসিনা সরকার৷ এক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ঢাকা ও নাইপিদাওয়ে মধ্যে শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ তারপরও নানা অছিলায় রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সু কি সরকার৷ শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম অভিযোগ জানান, প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়িত করছে না মায়ানমার৷ সু কি-র বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই৷ এমন মন্তব্য বিস্ময়কর এবং খুবই হতাশাজনক৷     

এদিকে দুই দেশের টানাপোড়েনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ রাখাইন ফিরে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রোহিঙ্গারা৷ সূত্রের খবর, ফেরত নিলেও রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত ক্যাম্পে রাখবে বার্মিজ সরকার৷ সারাক্ষণ চলবে সেনার নজরদারি৷ কুতুপালং শিবিরের শরণার্থী হামিদা জানান, গতবছর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তিনি৷ চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তাঁর স্বামীকে৷ রাখাইনে থাকা আত্মীয়রা নাকি খবর পাঠিয়েছেন ফিরলেও ক্যাম্পেই থাকতে হবে রোহিঙ্গাদের৷ এহেন পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে চাইছেন না অনেক শরণার্থী৷

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের উপর চাপ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহল৷ সদ্য বার্মিজ সেনার একাধিক শীর্ষ আধিকারিক ও দু’টি ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ ফলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে কৌশল পালটেছে বার্মিজ সরকার৷  উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাখাইনে চলা হিংসার নেপথ্যে ছিলেন কমান্ডার অং খাও ঝও৷ তাঁর আদেশেই চলে অভিযান৷ সংঘটিত হয় ধর্ষণ, হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা৷ উচ্ছেদ করা হয় প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গাকে৷ এদের বেশিরভাগই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে৷    

[ফের জঙ্গি নিধন কাশ্মীরে, উপত্যকায় বিপর্যস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement