সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের রক্তাক্ত উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। এবার গুলি করে খুন করা হল বাংলাদেশের ২৬ জন নাগরিককে। আহত আরও ১১ জন। রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের মিজদাত শহীরে এই ঘটনা ঘটে বলে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বচসায় এক পাচারকারীর মৃত্যুর ঘটনার ফলস্বরূপ এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লিবিয়ায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য কোনও দেশে পাচার করা হচ্ছিল। মাঝপথে তাদের সঙ্গে কোনও বিবাদ হওয়ায় পাচারকারীরা এই হত্যা কাণ্ড ঘটায়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান একজন। ত্রিপোলিতে বাংলাদেশের দূতাবাসকে তিনি জানান, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৫ দিন আগে বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৩৮ বাংলাদেশিকে। পথেই মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাঁদের পণবন্দি করে মানব পাচারকারীরা। মিজদা শহরে নেওয়ার পর বন্দিদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন যখন কঠিন পর্যায়ে চলে যায়, তখন বাধা দেন অপহৃত ব্যক্তিরা। বচসায় এক মানব পাচারকারী লিবিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার বদলা নিতেই গুলি করে মারা হয়েছে বাংলাদেশিদের।
ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশিদের কয়েকজন বর্তমানে একজন লিবিয়ানের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে আছেন। এই বিষয়ে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঢাকায় একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তুরস্ক সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহার খবরে বলা হয়, এক পাচারকারী পরিবার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যদিও সেই পাচারকারী আগেই মারা গিয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছে তার স্বজনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.