ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাসদুয়েক আগে জাহাজে করে মালয়েশিয়া পৌঁছতে ব্যর্থ একদল রোহিঙ্গা (Rohingya) কে আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুরোধে ভাসানচরে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এবার বন্যাপ্রবণ ওই এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে পাঠানোর অনুরোধ করল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)।
বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়, এপ্রিল ও মে মাসে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় থাকা ৩৩ জন শিশু-সহ ৩০০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে (Bhashan Char) পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তাঁরা যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। কিন্তু, তারপর থেকে ২ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁদের সেখান থেকে সরানো হয়নি। ফলে বন্যা ও ঝড়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই সমুদ্রের মাঝে থাকা ওই চরে দুর্বিষহ অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন ওই মানুষগুলি। তাঁদের সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা ভাসানচরে যেতে চাইলে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় ওই মানুষগুলির জন্য প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা তাঁদের পরিবার। অবিলম্বে ওই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শিবিরে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থনা করছে।
এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কক্সবাজারের থেকে ভাসানচরে অনেক ভাল রয়েছেন ওই রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের মতো ঘিঞ্জি পরিবেশ ওখানে নেই। আর ওখানে যেতে চেয়ে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়নি। ওখানে আশ্রয় মানুষগুলো কক্সবাজারে নিয়ে আসার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আসলে আমরা চাই সমস্ত রোহিঙ্গাকেই মায়ানমারে ফেরাতে। তাই এই মুহূর্তে ভাসানচরের বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। যদি কারোর খুব মায়া হয় তারা নিজেদের দেশে ওই রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.