সুকুমার সরকার, ঢাকা: খাদ্যের তীব্র সংকট। বাধ্য হয়ে লোকালয়ে গিয়ে খাবার খুঁজতে হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের যশোরে গৃহস্থ বাড়িতে তাই বাড়ছে হনুমানের উপদ্রব। ছোট থেকে বড়, সকলেই চলে আসে খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে বাড়িঘরে। সেভাবেই চলে এসেছিল একটি বাচ্চা হনুমান। ঘরে ঢুকে খাবার খুঁজছিল। গৃহস্থ বিরক্ত হয়ে শাবকটিকে মারধর করে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চাকে কোলে নিয়েই মা হনুমানরা গেল থানায়।
খাবার না পেয়ে মানুষের বাড়ি, ঘরে হামলে পড়ায় সম্প্রতি এক বানরের বাচ্চাকে মারা হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে একদল হনুমান যশোর জেলার কেশবপুর থানায় অবস্থান নেয়। এ সময় হনুমানদের খাবার পরিবেশন করে শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। যশোরের কেশবপুরে রবিবার দুপুরে বিরল প্রজাতির কালো মুখওয়ালা হনুমানের দল কেশবপুর থানার প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়। ডিউটি অফিসারের ঘরেই একরকম ঢুকে পড়ে তারা। থানা চত্বরে ও অফিস কক্ষে তাদের লাফালাফিতে পুলিশ সদস্যরা হতচকিত হয়ে পড়েন। পরে তাদের অতি যত্নে খাবার খাইয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়।
কেশবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন বলেন, “একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় আসে। বাচ্চাটিকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। এর পরপরই প্রায় ২০ থেকে ২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে ও ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান নেয়। পরে কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর হনুমানের দল চলে যায়।” স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন বলে হনুমানদের আশ্বস্ত করেছেন ওসি। এর কিছুক্ষণ পর থানা এলাকা ত্যাগ করে তারা। কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল মোনায়েম হোসেন বলেন, “শহর ও শহরতলিতে শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম ও ২ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি ও অফিসে ঢুকে পড়ে। ইতিপূর্বে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.