Advertisement
Advertisement
Money

নর্দমায় ভেসে আসছে ১০০-৫০০’র নোট, নোংরা জলে টাকা কুড়নোর হুড়োহুড়ি মানুষের

গল্প নয় সত্যি ঘটনা! হাজার হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন মানুষ।

Money flows at Bangladesh drain
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 23, 2020 1:16 pm
  • Updated:August 23, 2020 2:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার গাছের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখে হয়তো ভেবেছেন, আহা! এমন গাছ যদি সত্যিই হত! হঠাৎ করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতেন। সব স্বপ্ন সত্যি হয় না। কিছু স্বপ্নের জন্য পরিশ্রম করতে হয়। তবে মাঝে মধ্যে মানুষের চিন্তাভাবনার বাইরেও এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা মানুষকে অবাক হতে বাধ্য করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী-ঢাকা (Rajshahi-Dhaka) সড়কের পাশের নর্দমায়। যেখানে ভাসতে দেখা গিয়েছে ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট। আর টাকার মোহে নোংরা জলে ঝাঁপাতেও দ্বিধা করেননি মানুষ।

রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে থাকা নোংরা নর্দমার সামনে ভিড় জমে গিয়েছে। করোনার আবহে শরীর খারাপের তোয়াক্কা না করেই নোংরা জলে নেমে পড়ছেন মানুষ। কারণ নর্দমার জলে ভেসে যাচ্ছে টাকা। সেই টাকা নেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শোনা গিয়েছে, একেক জন নাকি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কুড়িয়ে ফেলেছেন। অনেকে আবার নর্দমার পাশে অপেক্ষায় রয়েছেন। কখন আবার টাকা ভাসতে দেখা যাবে।

Advertisement

কিন্তু এত টাকা আসছে কোথা থেকে? টাকার পাশাপাশি রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপের হিসাবের কিছু কাগজও ভাসতে দেখা গিয়েছে। রাজশাহী সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানিয়েছেন, সংস্থার কিছু পুরনো কাগজে পোকা ধরেছিল। তা না পুড়িয়ে ভুল করে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে টাকাগুলি কোথা থেকে আসল? তা এখনও পরিষ্কার নয়। অবশ্য এ বিষয়ে পুরনো একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন মতিউল হক। জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে গ্রুপের এক কর্মচারীর কাছে মালিকের আড়াই লক্ষ টাকা ছিল। নিজের ডেস্কের ড্রয়ারে তিনি টাকাগুলি রেখেছিলেন। পরে তা আর পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়েছিল, সেসব টাকা চুরি করা হয়েছে। সেই টাকা এখনও নিজের পারিশ্রমিকের অর্থ কাটিয়ে শোধ করছেন ওই ব্যক্তি। কিছু টাকা গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরাও তাঁর জন্য দান করে শোধ করেছেন।

মনে করা হচ্ছে, যে টাকাগুলি চুরি করেছিল, সেই সিসিটিভি নজরে পড়ার ভয়ে তা আর সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি। তাই পুরনো কাগজের মাঝে লুকিয়ে রেখেছিল। সেই টাকাই নর্দমায় ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয় বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি রেলওয়ে পুলিশের আওতাধীন বলে আর তলিয়ে দেখা হয়নি। এদিকে, রেলওয়ে পুলিশের ওসি শাহ কামালের দাবি, নর্দমার অবস্থান রেলওয়ের সীমানার বাইরে। তাই বিষয়টি জানলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement