Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

মহা ধুমধামে নাবালিকা বিয়ের আসর, ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বন্ধ করল বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত

বর এবং কনের বাবার থেকে আদায় করা হল জরিমানা।

Mobile court in Bangladesh stops marriage of teenaged girl| Sangbad Pratidin

ছবি:‌ প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 13, 2020 2:11 pm
  • Updated:December 13, 2020 2:11 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাল্যবিবাহ রোধে প্রশংসনীয় উদ্যোগ বাংলাদেশের (Bangladesh)। সিরাজগঞ্জে মহা ধুমধামে চলা নাবালিকার বিয়ের আসর বন্ধ করতে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হল ভ্রাম্যমাণ আদালত। ব্যাপারটা আশ্চর্যের হলেও এমনটাই ঘটেছে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের চাপে পড়ে বাল্যবিবাহের আসর বন্ধ তো হলই, শাস্তির মুখে পড়তে হল উভয় পরিবারকে।

জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভায় বরের বাড়িতে বিয়ের আসর বসেছিল জোরকদমে। কনে নাবালিকা (Teenager), বয়স মাত্র ১৪ বছর। সেই কারণে কনের বাড়িতে বিয়ের আসর বসালে পুলিশের চোখে পড়ার আশঙ্কায় তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন কনের বাবা। কিন্তু নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে, এই খবর কানে পৌঁছয় সেখানকার প্রশাসনের। এরপরই ভ্রাম্যমাণ আদালত সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন প্রশাসনিক কর্তারা। বিয়ে বন্ধ করে তাঁরা বর এবং কনের বাবার থেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করেন। সেইসঙ্গে মেয়ের বাবাকে দিয়ে এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় যে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে দেবেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার কোপে ‘অমর একুশে’, আগামী বছর ভাষা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিলের পথে ঢাকা]

কেমন এই ভ্রাম্যমান আদালত? জানা গিয়েছে, এটি একটি দল। পরিচালনায় রয়েছেন এক ম্যাজিস্ট্রেট ও এক আধিকারিক। এ ধরনের কোনও বেআইনি কাজের খবর পেলে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত ঘটনার নিষ্পত্তি করেন। সিরাজগঞ্জে নাবালিকা বিয়ের আসরে অভিযান চালানোর সময়ে এই আদালতের কাজে সহযোগিতা করেন এক সমাজকর্মী, বেলকুচি পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর, একজন উকিল।

[আরও পড়ুন: জনপ্রিয় গানের সুর চুরির অভিযোগ, মামলা হিরো আলমের বিরুদ্ধে]

ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, জেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও প্রশাসনের চেষ্টায় সিরাজগঞ্জকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার কাজ চলছে। তার অংশ হিসেবে তাঁদের এই অভিযান। তবে এ ধরনের বেআইনি কাজ রুখতে পরিবারের অভিভাবক, বিশেষ করে মা-বাবাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মত তাঁর। ততটা সচেতন যদি অভিভাবকরা নাও হয়ে থাকেন, তাহলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই সচেতনতা তৈরি করে দেবেই, তা স্পষ্টই বোঝা গেল শনিবারের ঘটনায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement