সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদ উপলক্ষে ছাড় ছিল খানিকটা। আর সেই ছাড়েই গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। এরপর থেকেই করোনা সংক্রমণ রুখতে বাংলাদেশে জারি হয় কড়া লকডাউন (Lockdown)। আর সে কারণে যানবাহন না পেয়ে চাকরি বাঁচাতে হেঁটেই ঢাকায় ফিরেছেন তাঁরা। এভাবে লকডাউন ভাঙায় গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দায়ের হয়েছে মোট ৭১ টি মামলা। তা থেকে ১০ লক্ষ ৫১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে একজনকে। এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলি ও আমিন বাজারে শনিবার দেখা গেল, স্বজনদের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে অগণিত মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে, মোটর সাইকেল কিংবা সাইকেলে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন তাঁরা। মাওয়া ঘাট এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭১ মামলায় ১০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা (fine)করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ সকলেই লকডাউনে বাস্তবায়নে কাজ করছে। লৌহজং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউসার হামিদ আরও জানান, “আমরা জরুরি পরিষেবার যান অথবা পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া পার হতে দিচ্ছি না। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কাউকে অন্যত্র যেতেও দিচ্ছি না।” শিমুলিয়া এসে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। চাকরি বাঁচাতে হেঁটে রওনা হতে হয় তাঁদের। শনিবার সকালে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ির ফাঁকে ফাঁকে তাঁদের দাঁড়িয়ে পদ্মা পাড় হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু শিমুলিয়ায় এসে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েন তাঁরা।
করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। চলমান বিধিনিষেধ সত্ত্বেও চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কষ্ট করে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের। বাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ছেন। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা গাড়ি, মোটরসাইকেল থামিয়ে পরীক্ষা করছেন। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনও গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে যাঁরা মোটরবাইক নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। এ সবের মাঝে আইন ভাঙলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.