সুকুমার সরকার, ঢাকা: নতুন করে লকডাউন (Lockdown) শুরু হওয়ার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। এই নিয়ে বেশ চিন্তিত শেখ হাসিনার প্রশাসন। এর মাঝেই বাংলাদেশে গঙ্গা ও পদ্মার অববাহিকায় নদ-নদীর জল ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫টি জেলা বন্যাকবলিত। মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। আগামী ১২ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি ও ফরিদপুর জেলার বন্যা (flood) পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন।
বিক্রমপুরের (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ) ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার জল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে। এদিকে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যার প্রকোপ অব্যাহত আছে। ৯টি নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপরে। এর ফলেই বন্যার কবলে পড়েছে ১৫ জেলা। যমুনার জল নামলেও পদ্মার দু’টি পয়েন্টে বিপদসীমা পার করেছে। এতে মধ্যাঞ্চলের জেলা রাজবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে বন্যা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় জলে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেডিকেল টিম করে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার, স্যালাইন ও বিভিন্ন ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন। বন্যাকবলিত সিলেট সদর উপজেলায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে নতুন করে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টি না হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনার জলের সমতল বাড়ছে না। তাই এখানকার বন্যা পরিস্থিতি আরও ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে অনুমান করা হচ্ছে। তবে বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মার জল। অপরদিকে মেঘনা অববাহিকা বা সিলেট থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত নদ-নদীতে জলের সমতল হ্রাস পাচ্ছে। এটা আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সুরমা নদীর জল সিলেট পয়েন্টে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং কুশিয়ারা, সারি ও যাদুকাটা নদীর পানি সব পয়েন্টেই বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হলে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.