ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা (Corona) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের থেকে উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারানোর সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৬৭২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক হাজার জনের। এদের উপসর্গ ছিল, কিন্তু পরীক্ষা করাতে না পারায় করোনার বিষয়টা নিশ্চিত হয়নি। এই নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও শাসকদল আওয়ামি লিগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ নাসিম।
সোমবার রাতে প্রকাশ পাওয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে তাঁর শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের ছেলে তানভীর শাকিল জয়। এর আগে অসুস্থতার কারণে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশ্যালাইজড হাসপাতালে ভরতি হন মহম্মদ নাসিম। হাসপাতালে ভরতির পর করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ।
এদিকে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। কিন্তু, পরীক্ষা করাতে পারেননি, পাননি চিকিৎসাও। এই ধরনের রোগীর অধিকাংশই অশেষ কষ্ট ভোগ করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এরপর তাঁদের দেহে কোভিড-১৯ (Covid-19)’র জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর কথা বলা মানে এক প্রকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করা। কারণ উপসর্গ নিয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা মূলত করোনায় মারা গিয়েছেন। যখন মহামারি হয়, তখন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর কথা বলার কোনও যৌক্তিকতা থাকে না। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মন্তব্য হল, তাঁরা মূলত এই রোগেই মারা গিয়েছেন। তবে উপসর্গগুলি পর্যালোচনা করে একজন চিকিৎসককেই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে ৮৮ জনের (২৩ ভাগ) কোনও রকম নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে ২৯৮ জনের (৭৭ ভাগ) নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.