সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশে। এবারেও ঘটনাস্থল রাজধানী ঢাকা। শনিবার রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশনের কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। যদিও এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি, কিন্তু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি।
[আরও পড়ুন: আগুনের বলি উঠতি ক্রিকেটার, ঢাকায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
শনিবার ভর পাঁচটা নাগাদ গুলশন ১–এর ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে কাঁচাবাজার থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। তারপরই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে একটি সুগন্ধীর দোকান। তবে বনানীর আগুনের পর থেকেও সতর্ক ছিলেন স্থানীয়রা। ফলে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। তরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ২০টি ইঞ্জিন। দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয় আগুন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, একটি সুগন্ধির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফের কেন এই মার্কেটে আগুন লাগল, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেও এই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল বহু দোকান। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ জনান, ২০১৭ সালে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য বেশ কয়েকবার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও মার্কেট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এনিয়ে রাজধানী ঢাকার বুকে পরপর তিনটি অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হল। প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে তাতে ফল মেলেনি। ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আজও অত্যন্ত শোচনীয়। ফলে ফের এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, বনানীর ১৭ নম্বর রোডের একটি বহুতল ‘এফ আর টাওয়ারে’ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় অন্তত ২৫ জনের। তার আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে ঢাকার চকবাজারে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৮১ জন নিরীহ মানুষের। তারপরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তার রেশ কাটার আগেই ফের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলায় সরব, হিন্দুদের ধর্মান্তকরণে চুপ কেন? মালালার ভূমিকায় প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.