ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমিকের সঙ্গে সংসার বাঁধার প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) এক গৃহবধূ। ঘর ছেড়ে পালাতে দিয়ে গণধর্ষণের শিকার তিনি। অন্তত ৯ জন মিলে কিশোরগঞ্জের গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। সিলেটের পুলিশ এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতে পেশ করে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এক গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় সিলেটের লাউগুল গ্রামের জামেদ আহমদ জাভেদের। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গভীর হতে থাকলে জাভেদ প্রতিশ্রুতি দেয়, গৃহবধূকে বিয়ে ও তাঁর দুই সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করবে। তাই তিনি যেন সন্তানদের নিয়ে জাভেদের সঙ্গে সংসার পাতেন, এই মর্মে চাপ দিতে থাকে। অভিযোগ, এরপর গৃহবধূকে সিলেট নিয়ে যায় জাভেদ। ওই গৃহবধূ সিলেটে গেলে তাঁকে বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোনা টিলার উপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফয়জল আহমদ, রাসেল আহমদ ও জামিল আহমদ – এই ৪ জন মিলে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ (Gangrape) করে।
অভিযোগ, ধর্ষণের পরও ওই গৃহবধূকে আটকে রাখে জাভেদ ও তার সহযোগীরা। দু’দিন পর সেখানে পৌঁছয় জাভেদের সহযোগী আরও ৫ ধর্ষক। রুবেল, ইমাম, ফারুক, মহম্মদ মোশাহিদ আহমেদ ও আবুল – এই ৫ জনও গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ করে। এত অত্যাচারেও অবশ্য ওই গৃহবধূ সাহস হারাননি। তিনি কৌশল করে সেখান থেকে পালিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ জানান। পরে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ২৬ এর মধ্যে। নির্যাতিতাকে উদ্ধারের পর পুলিশ তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল হাসপাতালের ওসিসিতে ভরতি করায়। ধৃতদের আদালতে পেশ করার পর জেলবন্দি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা সংলগ্ন গাজিপুরে খুড়তুতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রেপ্তার হয়েছে যুবক ও তার সঙ্গী। গাজিপুরের এক বস্ত্র কারখানায় কাজ করতে গিয়ে মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয়, প্রেম, বিয়ে হয় ওই তরুণীর। দুজনে দেড় বছর ধরে সংসারও করেন। সম্প্রতি মাহিদুল গাজিপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে মাহিদুল। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে ভগ্নিপতি রহুল আমিন বাবুর পতিত বাড়িতে এসে ওঠে। সেখানেই জনশূন্য বাড়িতে নিজের খুড়তুতো ভাই আবদুল মালেকের হাতে তুলে দেয় স্ত্রীকে। পরে রাতভর স্বামী মাহিদুল ও মালেক মিলে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তরুণী প্রতিবাদ করলে উভয়ে মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। ভোরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই তরুণীকে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পলাতক অভিযুক্ত মাহিদুল ও মালেক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.