ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মর্গে রাখা মৃতদেহের সঙ্গে ‘বিকৃত যৌনাচারে’ লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বন্দর নগর চট্টগ্রামের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার মর্গেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
ধৃতের নাম মো. সেলিম। বয়স ৪৮। অভিযোগ, ময়নাতদন্তের আগে মর্গে (Morgue) রাখা মৃতদেহের সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হত সেলিম। তাঁর গতিবিধি দেখে হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ৩২ বছরের এক মহিলা ও ১২ বছরের এক কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সে সময় চিকিৎসকরা তাদের এইচভিএস (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডি-র (CID) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। পরে ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেন, দু’টি মৃতদেহের যৌনাঙ্গ থেকে পাওয়া বীর্য একই ব্যক্তির।
বিষয়টি জানার পরই, ঢাকার ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম কার্যালয়কে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়। বাংলাদেশ সিআইডির বিশেষ সুপার জানান, তদন্তে নেমে মর্গের ডোম এবং মৃতদেহের পাহারার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেলিমের বীর্যের নমুনার সঙ্গে মৃতদেহের যৌনাঙ্গ থেকে পাওয়া বীর্যের নমুনার মিল পাওয়া যায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। সিআইডির বিশেষ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ জানান একটি মামলাও নথিভূক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই কাণ্ডে হাসপাতালের ডোমের সহযোগীকে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। মুন্না ভক্ত নামের ২২ বছর বয়সী ওই তরুণ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডোম যতন কুমার লালের ভাগ্নে। গ্রেপ্তারির পর নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছিল সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.