Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়াই কাল! ঢাকার হোটেলে রহস্যমৃত্যু মুর্শিদাবাদের নাগরিকের

শুক্রবার ৬ বন্ধুকে নিয়ে ঢাকার মীরপুরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন ওই যুবক, ভোররাতে সেখানেই মৃত্যু হয়।

Man from Murshidabad found dead in a hotel, Dhaka

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 10, 2024 2:40 pm
  • Updated:November 10, 2024 2:45 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকমাস ধরে ভারত থেকে যাতায়াত প্রায় থমকে গিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফের তা শুরু হয়েছে। অনেকেই বেড়াতে যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশটিতে। শুক্রবার ৬ বন্ধুকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা আকবর আলি মণ্ডল। আর সেটাই কাল হল! অসুস্থ হয়ে ঢাকার হোটেলেই মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য থাকছেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তা স্পষ্ট হবে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা মীরপুরের হোটেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন বছর আটত্রিশের আকবর আলি মণ্ডল। তাঁকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনিই জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিক আকবর-সহ ছয় বন্ধু মীরপুরের একটি হোটেলে ওঠেন। ঘুমের মধ্যে আকবর অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে মীরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোর চারটে নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই শামসুন্নাহার আরও বলেন, ভারতীয় নাগরিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে, প্রায় তিনমাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ-আখাউড়ায় চারলেন মহাসড়কের বেহাল অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের’ আধিকারিক-কর্মচারীরা ফিরতে শুরু করার পর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মহাসড়কটির বেহাল অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়। এছাড়া এই সড়কের ঘাটুরা এলাকার সেতুর নির্মাণকাজও চলছে। এর মধ্যে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা কাটছে’ বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মহম্মদ শামিম আহমেদ বলেছিলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর ভারতীয়রা একজন, দুজন করে আসতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ৩০ জন ভারতীয় নাগরিক প্রকল্প এলাকায় ফিরেছেন। আপাতত সংস্কার কাজ চলছে। এটি শেষ করে পাথর-সহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির পর মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশের নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু হবে।” সেক্ষেত্রে প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানান শামিম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement