সুকুমার সরকার, ঢাকা: নতুন করে কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের জেরে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের একাধিক কর্মচারী করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত। তাই ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইকমিশন ও আম্পাংয়ের ভিসা সেন্টার বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, হাইকমিশন খোলার পর আবার সমস্ত পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যে যাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের আবার আবেদন করতে হবে না। ১০ জানুয়ারির নিকটতম সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট আবার জানিয়ে দেওয়া হবে হাইকমিশন থেকে। এছাড়া ২ জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ার জহুর বারু প্রদেশে পাসপোর্ট প্রদানের কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ১০ তারিখের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাইকমিশন খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত ১১ যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন (Quarantine) সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিন শুক্রবার সকালে লন্ডন থেকে আগত কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানে চারজন ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানে ১১ যাত্রী বিমানবন্দরে আসেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিমানবন্দরে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. নাজিবুল হক বলেন, ‘‘দুটি ফ্লাইটের যাত্রীদের আপাতত ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পর যাত্রীদের কেউ যদি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না থেকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত সাতটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান, সে ব্যবস্থা করা হবে।’’
বড়দিনের আগে ব্রিটেনে শনাক্ত হয়েছে নতুন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দ্রুত সংক্রমণশীল করোনা ভাইরাসের স্ট্রেন। সংক্রমণ এড়াতে ফলে বিশ্বের নানা দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করেছে। বাংলাদেশও যাতে এই নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশিকা জারি করেন। তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের নিজ খরচে হোটেলে অবস্থানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ওই সাতটি হোটেল ঠিক করা হয়। ঢাকার বনানীর অমনি রেসিডেন্স, নিকুঞ্জ-২ এর বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, হোটেল গ্রেস-২১, উত্তরা সেক্টর-১ এর হোটেল এফোর্ড ইন, সেক্টর-৯ এর হোয়াইট প্যালেস হোটেল, সেক্টর-৩ এর মেরিনো রয়েল হোটেল এবং মেমেন্টো হোটেলে কেউ চাইলে কোয়ারেন্টাইন কাটাতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.