সুকুমার সরকার: বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বদলের দাবি তুলে ফের পিছু হঠলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। শুক্রবার রাতে আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক লাইভ অনুষ্ঠান করতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, তিনি কখনওই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার কথা বলেননি। অথচ তাঁর মন্তব্য নিয়ে অযথা কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এনিয়ে গত কয়েকদিনের মধ্যে দু বার নোবেল এই অভিযোগ অস্বীকার করলেন।
কলকাতার বিখ্যাত রিয়্যালিটি শো সা-রে-গা-মা-পা’য় তৃতীয় স্থানাধিকারী মাইনুল আহসান নোবেল।যদিও ততদিনে তিনি বাংলাদেশে বেশ প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত হয়েছেন। নিজের কেরিয়ারের এমন এক সাফল্যের মুহূর্তেই একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণ গায়ক নোবেল। একটি সাক্ষাৎকারে নোবেল মন্তব্য করেছিলেন, “রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ যতটা না দেশকে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি প্রকাশ করেছে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও জেমস এর গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি।” এই মন্তব্যের জন্য দুই বাংলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি নোবেল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ একাধিকবার অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার রাতে এক এনজিও একাত্তর ফাউন্ডেশন ও বন্ধন অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে ভার্জিনিয়ার নোভা আলেজান্দ্রিয়া ক্যাম্পাসে এই ‘নোবেল লাইভ কনসার্ট’-এ গান গাইতে গিয়ে ফের তিনি বলেন, কখনওই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ পালটে দেওয়ার কথা বলেননি। এনিয়ে অযথা রটনা হচ্ছে। এর আগে নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানেও একই দাবি করেছিলেন নোবেল। যদিও তাঁর এই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই অনুষ্ঠানে গান গাইতে ওঠেন নোবেল। মঞ্চে উপস্থিত হলে দর্শক-শ্রোতারা বিপুল করতালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। তাঁর সুরের যাদুতে মেতে ওঠেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির প্রবাসী বাঙালিরা। দেশাত্মবোধক গান ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ দিয়ে নোবেল তাঁর অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর জনপ্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘সবকটা
জানালা খুলে দাও না’ গানটি শুরু করলে প্রেক্ষাগৃহ ভরতি দর্শক-শ্রোতারা একেবারে নীরব হয়ে গান শুনতে থাকেন। এদিনের অনুষ্ঠানে নোবেল প্রয়াত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়াতে অনুরোধ করলে উপস্থিত সকলে উঠে দাঁড়ান। এরপর তিনি আইয়ুব জনপ্রিয় গান ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানটি গেয়ে শোনান। এছাড়া তিনি ভারতীয় শিল্পী মান্না দে ‘র গাওয়া ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আর নেই’ অঞ্জন দত্তের ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো, নচিকেতার গাওয়া ‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার’ বাংলাদেশের নগর বাউল জেমসের ‘বাবা’ ‘ভিগি ভিগি’ এবং ‘তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়’ গান পরিবেশন করেন। এই গানগুলির অধিকাংশই তিনি সা-রে-গা-মা-পা অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.