ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবারও মাদ্রাসায় ধর্ষণের চেষ্টা। অভিযুক্ত শিক্ষকের যৌনাঙ্গ কাটল নির্যাতিত কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানা এলাকার একটি মাদ্রাসায়।
অভিযোগ, গত বুধবার রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ আতাবুর রহমান এক কিশোরকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আর সেই অভিযোগে শিক্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে দেয় ওই কিশোর। এই ঘটনাটি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানা এলাকার খারুয়া ইউনিয়নে ঘটেছে। নির্যাতিত কিশোরের অভিযোগ, ওই দিন রাতে তার ওপর চড়াও হয় আতাবুর। উপায়ন্তর না দেখে সহযোগিতার ভান করে শিক্ষকের বিশেষ অঙ্গটি কেটে দেয় সে। এদিকে, নির্যাতিত কিশোরকে হামলার অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
এই কাণ্ডে নির্যাতিত কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আহত মাদ্রাসা শিক্ষক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই শিক্ষার্থীর দাবি, শিক্ষক আতাবুর রহমান বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে খাবারের নিমন্ত্রণ দিয়ে তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। তারপর রাস্তার মধ্যেই তাকে কাছে টেনে চুমু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত বোলাতে থাকে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ছাত্র পকেটে থাকা নেইল কাটার দিয়ে শিক্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, শিক্ষকের বাবার মামলার পর ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আহত শিক্ষক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বলে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগেও কিশোরগঞ্জে ১০ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ষণ যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.