Advertisement
Advertisement
ডেঙ্গু

বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু, পরিষেবা দিতে নাজেহাল চিকিৎসকরা 

জ্বরের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

Killer Dengue wrecks havoc in Bangladesh, sparks panic
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 1, 2019 1:14 pm
  • Updated:August 1, 2019 1:14 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভয়াবহ ডেঙ্গুর কবলে প্রায় গোটা বাংলাদেশ। দেশের ৬৪টি জেলার সবক’টিতেই ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবার আসরে নামল জাপান]

এদিকে, রোগীদের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা অনেকটাই কম হওয়ায় পরিষেবা দিতে গিয়ে নাজেহাল চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি রাজধানী ঢাকার। এই শহরকেই ডেঙ্গুর উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও সর্বাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এদিকে, বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হাসপাতাল ও ডায়গোনস্টিক সেন্টারগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডি লেকের ধারে আওয়ামি লিগের মশা নিধন ও সচেতনতামূলক প্রচার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের পক্ষে পাঁচশ-হাজার টাকা দিয়ে এই রোগের রক্তপরীক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসকদের বলব, মানবতার স্বার্থে নামমাত্র ১০০ টাকা অথবা বিনা পয়সায় রক্তপরীক্ষা করুন।’

Advertisement

সরকারি সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত শিশু-সহ মোট ৪৪০০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জ্বরের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর মধ্যে আগামী মাসে ঈদ-উল-আজহা থাকায় চিন্তা আরও বেড়েছে। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে শহরে বসবাসকারী বহু মানুষ গ্রামে নিজের নিজের বাড়িতে যাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর থেকে মশার মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আওতাধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আয়েষা আখতার জানিয়েছেন, ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। কিন্তু এবছরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেটাই সবচেয়ে চিন্তার প্রশাসনের৷

[আরও পড়ুন: মায়ানমারের হাতে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তুলে দিল বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement