ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কারাগার চত্বরেই আদালত। সেখানেই চলছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিচার। তা নিয়ে দেখা দিয়েছে তুমুল বিতর্ক। সরব হয়েছে বিরোধী দল ও একাধিক মানবাধিকার সংগঠনও। ফলে হাসিনা সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে সরকারের যুক্তি, খালেদার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কারাগারের ভিতর আদালত বসানো হয়েছে।
[২০২৫-এর মধ্যে পাকিস্তানের ভাণ্ডারে ২৫০টি পারমাণবিক বোমা!]
ঢাকায় বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের কথা প্রথমদিকে বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। বেগম জিয়ার সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেই কারাগারের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এদিন আইনমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তার কথা তুলে আগে একাধিকবার আদালতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন বেগম জিয়া। তাই আমরা কারাগারেই আদালত বসিয়েছি। এতে কারও অধিকার খর্ব করা হয়নি। যথাযথভাবে মামলা না লড়ে বিচার প্রক্রিয়াকে বয়কট করার চেষ্টা করছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
এদিন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী জানান, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সভাপতি। তাই একমাত্র তিনিই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। আবার নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারবে না এমন কথাও সংবিধানে লেখা নেই। নির্বাচনের সব দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। রাজনীতিবিদদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের। ছাত্র আন্দোলন-সহ একাধিক ইস্যুতে চাপে রয়েছে শাসকদল। ফলে এই মুহূর্তেই নতুন কোনও বিতর্ক চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে বিএনপি। একে নেত্রী কারাবন্দি, তার উপর তৃণমূল স্তরে দলীয় পরিকাঠামোয় ফাটল, সব মিলিয়ে বিরোধী দলের পরিস্থিতি জটিল। তবে ছাত্র আন্দোলন ও দুর্নীতির জেরে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল আওয়ামি লিগ।
[অপ্রতিরোধ্য ভারত, মহাকাশ থেকে এবার নজরদারি চিন ও পাকিস্তানের উপর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.