সুকুমার সরকার, ঢাকা: শর্তসাপেক্ষে আরও ৬ মাস কারাগারের বাইরে থাকবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দণ্ড স্থগিত করে এই সংক্রান্ত অনুমোদিত ফাইল আইনমন্ত্রক থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বিএনপি সুপ্রিমো বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানান। জিয়া এতিমখানা-সহ দুর্নীতির একাধিক মামলায় জেলের সাজা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। তবে করোনা মহামারীর মধ্যে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম এস্কেন্দার গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি আবেদন করেন। তাতে তার অসুস্থ বোনের কারামুক্তির পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি। খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে চিকিৎসার জন্যও তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। এবারও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে। আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে আরও জানান, গত ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।
এদিকে, নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়ার খবর শুনে স্বস্তিতে বিরোধী দল বিএনপি। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের থাক আওয়ামি লিগকে কিছুতেই টক্কর দেওয়ার মতো জায়গায় নেই বিরোধী দলগুলি। তবুও খালেদার অনুপস্থিতিতে দলীয় কোন্দল থেকে শুরু করে দল ছাড়ার যে হিড়িক বিএনপি-তে শুরু হয়েছে তা নেত্রী কারাগারের বাইরে থাকে কিছুটা হলে কমবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.