ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপি সুপ্রিমোকে নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন মেডিক্যাল বোর্ড। কার্যত যমে-মানুষে টানাটানি চলছে বিরোধী নেত্রীকে নিয়ে।
জানা গিয়েছে, বেগম জিয়ার (Khaleda Zia) শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড এনিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জিয়াকে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, জিয়ার শরীর ওষুধে আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছে না। নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছে। তাঁর কয়েকটি টেস্টের ফলাফল দেখেও উদ্বিগ্ন মেডিক্যাল বোর্ড।
জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জেনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির হাসপাতালে যান। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ হাসপাতালে যান তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শয্যার পাশে দীর্ঘ ৪০ মিনিট ছিলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন ফখরুল ইসলাম। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খালেদা জিয়ার পেটে জল বেড়েছে। ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঘুম হচ্ছে না। অবস্থা ভাল না। কয়েকদিন ধরে অবনতি হচ্ছে। লিভারের সমস্যা জটিল হচ্ছে। এটার শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভরতি করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুথানে নিহত হন। এরপর জিয়া দলের হাল ধরেন। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে দল বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। বেগম জিয়ার বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এক ডজনেরও বেশি মামলায় কারাদণ্ড-জরিমানা মাথায় নিয়ে ব্রিটেনে পলাতক রয়েছেন। বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোও পলাতক অবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.