Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশে খারিজ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, মুজিব মুছে বাঙালি জাতিসত্ত্বায় আঘাত ইউনুসের

হাই কোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।

'Joy Bangla' no longer Bangladesh national slogan as SC stays HC verdict
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 10, 2024 1:17 pm
  • Updated:December 10, 2024 3:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকছে না ‘জয় বাংলা’। ইউনুস সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে হাই কোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের স্মৃতি মুছে বাঙালি জাতিসত্ত্বায় আঘাত হানতে চাইছে ইউনুস প্রশাসন। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান না রাখার অর্থ পাকিস্তানপন্থী নয়া বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করা। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ থেকে ভাষা আন্দোলনের মতো বাঙালি জাতির বলিদানের তথা আবেগের কোনও দাম থাকবে না। 

২০২০ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্টের দুই বিচারপতি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাংলায় দেওয়া রায়ে বলা হয়েছিল, “আমরা ঘোষণা করছি যে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।” এর পর ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ইউনুস সরকার। ২০২০ সালের ১০ মার্চের রায়ে স্থগিতাদেশ চান সরকারি কৌশলী।

Advertisement

মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ ইউনুস সরকারের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগানের মান্যতা দেওয়ার রায়ে স্থগিতাদেশ দেন। উল্লেখ্য, এইসঙ্গে ১৫ আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার বিরুদ্ধেও আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল মুজিবর রহমানকে। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, সেদিন মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন যাঁরা, তাঁদেরই ভাবশিষ্য অন্তর্বর্তী আজকের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেই কারণেই কেবল ‘শত্রু’ হাসিনাকেই নয়, বঙ্গবন্ধুকেও বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে তৎপর ইউনুস প্রশাসন। মূর্তি ভাঙা, পাঠ্য থেকে সরানো, মুদ্রা থেকে মুছে ফেলা, সবেতেই আসলে মুজিবকে মোছাই লক্ষ্য।

মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে বাঙালি জাতির হিরো। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে যাঁর গর্জন—‘এবার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম’ ছিল বাংলাভাষী একটি জাতির গর্জন। এই বাঙালি অবেগের সঞ্চার হয়েছিল ‘৭১-এর অনেক আগে, ভাষা আন্দোলনে। পাকিস্তানি শাসকের উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তুমুল আন্দোলনে প্রাণ যায় সালাম-রফিক-বরকত-জব্বরের। সেই বলিদানের অভিঘাতে ধর্মের ঊর্ধ্বে ভাষাবন্ধনে গড়ে উঠেছিল একটি জাতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই জাতি সত্ত্বাতেই আঘাত হানতে চাইছে পাকিস্তানপন্থী ইউনুস। সেই কারণেই বঙ্গবন্ধু, সালাম-রফিক-বরকত-জব্বর, লক্ষ মুক্তি যোদ্ধার বলিদান আজ মূল্যহীন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement