Advertisement
Advertisement

ভারত থেকে সংগৃহীত অর্থ-অস্ত্রে গুলশন হামলা, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকার বিলাসবহুল ক্যাফে হামলার নেপথ্যে কোন কাহিনী?

JMB top leader Ripon arrested
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 21, 2019 10:34 am
  • Updated:January 21, 2019 10:34 am

সুকুমার সরকারঢাকা:  ঢাকার গুলশনে হলি আর্টিসান কাফের সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায়  গ্রেপ্তার অন্যতম মূল চক্রী রিপন। তাকে হেফাজতে নিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে,বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আরও  শক্তিশালী করতে ভারত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা দেশে পাঠাত জঙ্গি মামুনুর রশদ ওরফে রিপন। তবে ভারতে কাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিল, তা নিয়ে রিপনের মুখে কুলুপ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হলি আর্টিসান ক্যাফেতে হামলার আগে ভারতে আত্মগোপন করে টাকা সংগ্রহের কাজে নেমেছিল রিপন। ৩৯ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়।  শুধু অর্থই নয়, অস্ত্র, গোলাবারুদও সরবরাহ করেছিল। 

মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবিতে রিপনের প্রবেশ এবং ভরসাযোগ্য হয়ে ওঠার নেপথ্যে দীর্ঘ কাহিনী জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ২০০৯ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের মাদ্রাসাতুল দারুল হাদিসে ভর্তি হয় রিপন। সেখান থেকে পাস করে বগুড়ায় সাইবার টেক নামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কোর্স শেষ করে ওই প্রতিষ্ঠানেই চাকরিতে নিযুক্ত হয়। এর মধ্যেই জেএমবির অন্যতম কর্মকর্তা ডা. নজরুলের হাত ধরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়।  প্রথমদিকে তার দায়িত্ব ছিল চাঁদা সংগ্রহ করা। পরবর্তীতে জেএমবির অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের বড় দায়িত্ব পায় রিপন। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রিপন নানা দোকানে লুটপাট শুরু করে। প্রথম দফাতেই ৮ লক্ষ টাকা সে তুলে দেয় জেএমবির তহবিলে।

Advertisement

                                              [খালেদার বিরুদ্ধে এবার ধর্মবিদ্বেষ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]

রিপন আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাইবান্ধায় সংগঠনের এক বৈঠকে হলি আর্টিসান ক্যাফেতে হামলার সিদ্ধান্ত হয়। তৈরি হয় ব্লু প্রিন্ট। সেইমতো হামলার আগে এপ্রিল মাসে রিপন ভারতে যায়। ৩৯ লক্ষ টাকা ছাড়াও  ক্যাফে হামলায় ব্যবহৃত তিনটি AK-22 রাইফেল, পিস্তল-সহ বিস্ফোরক পাঠায়। হলি আর্টিসানের জঙ্গি হামলা হয় ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই। উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছিল রিপন। তবে হলি আর্টিসান ক্যাফেতে হামলার পরবর্তী সময়ে পুলিশ, সন্ত্রাসদমন শাখা, গোয়েন্দা বাহিনীর যৌথ তৎপরতা, তল্লাশির জেরে কিছুটা বিপাকে পড়ে জেএমবি। সংগঠন দুর্বল হতে থাকে।

২০১৮ সালের শুরু থেকে ফের  দুর্বল জেএমবি’কে সক্রিয় করতে নতুন করে কাজে নেমে পড়ে রিপন। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন ম্পর্শকাতর স্থানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।  তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবে শনিবার রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন গ্রেপ্তার  হওয়ায় জেএমবি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement