নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। এবার তার প্রমাণ মিলল ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলায়। বরাবর আওয়ামি লিগ ও জামাত-ই ইসলামির মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কিন্ত সেই সম্পর্ক দূরে ঢেলে পুলিশের হাতে আটক আওয়ামি নেতাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও জামাতের নেতাদের। বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এক মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুলকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ছাড়াতে থানার সামনে হাজির হন জামাতের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী। তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করার পাশাপাশি শফিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। এবিষয়ে জয়দেবপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল হালিম জানান, “শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই আওয়ামি লিগ নেতাকে আটক করা হয়। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে জামাতে ইসলামির নেতারা থানায় এসেছিলেন। তাঁরা দাবি নিয়ে আসতেই পারেন কিন্তু আমাদের ছেড়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁকে একটি মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আনা হয়েছে।” এদিকে, জামাতের গাজীপুর সদর উপজেলার নায়েবে আমির আবদুল বারীর, “পুলিশ যাঁকে ধরেছে, তিনি বর্তমানে আমাদের সংগঠনের লোক।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, শফিকুল শিকদারকে আটকের পরপরই শতাধিক জামাতের নেতাকর্মীরা থানার মূল গেটের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। সেই সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে থানা ঘেরাও করে রাখেন। সদর উপজেলা জামাতের সেক্রেটারি আবদুল বারি থানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, দল করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। দল করার কারণে কোনও নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এই জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে, সেজন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামি লিগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামি লিগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেই শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.