সুকুমার সরকার,ঢাকা: দুই বোন ও তাদের ছোট মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড পীরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বঘোষিত ওই পীরের নাম মহম্মদ মনির হোসেন। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার বাড়ি থেকে ধর্ষিতা মহিলাদেরও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ মাসুদ জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী সমস্যায় পড়ে ওই এলাকার স্বঘোষিত পীর মনির হোসেনের কাছে। পীরের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই মহিলার। একসময়ে মনির ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতে থাকে৷ দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণের পর ওই মহিলার ছোট বোনের প্রতি আকৃষ্ট হয় পীর৷ তাকেও নিজের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মনির৷ কিছুদিন পর ওই দুই বোনের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে ছোট বোন পীরের আস্তানায় যাওয়া ছেড়ে দেয়৷ তখন মনিরের নজর পড়ে বড় বোনের কিশোরী মেয়ের দিকে৷ ১৩ বছরের মেয়েটিকেও লাগাতার ধর্ষণের শিকার হতে হয়৷
একটা সময় পর ওই কিশোরী তার মাসিকে সব কথা খুলে বলে৷ আশুলিয়া ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চায় তারা। তবে বোনঝির কথা শুনে মাসি ওই স্বঘোষিত পীরের সমস্ত কুকীর্তির কথা আশুলিয়া থানার পুলিশকে জানায়৷ খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার রাতে মনিরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পীরের সহকারী মকবুল হোসেন পলাতক৷
মনিরের বিরুদ্ধে এধরনের আরও অনেক অভিযোগ পুলিশ পেয়েছে। তার বাড়িতে আস্তানা বানিয়ে তিনি নির্বিঘ্নে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। মনিরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতা নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছোট বোন বাদীপক্ষ হয়ে স্বঘোষিত পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, আরও বহু নারী ওই আস্তানায় যেত এবং ভণ্ড পীর মুনির তাদেরকেও ধর্ষণ করেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মবিরোধী কাজেই লিপ্ত ছিল মনির। আশুলিয়া থানার ওসি মহম্মাদ রেজাউল হক দীপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের বড় বোনকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা কৌশলে পীর ধর্ষণ করে আসছিল। পরে তাঁর ছোট বোন ও কিশোরী মেয়েকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.