ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের নিশানায় রাজধানী ঢাকার অভিজাত পল্লি গুলশান। ভারত-সহ একাধিক দেশের দূতাবাস রয়েছে ওই এলাকায়। এর আগেও গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিক পাড়ার সুরক্ষা নিশ্চিত করেত তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকেই অভিজাত পল্লি গুলশানের বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে শপিংমল, আবাসিক এলাকা ও কূটনীতিক পাড়ায়। পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করার ছক কষছে জঙ্গিরা। জেহাদিদের নিশানায় রয়েছে বিমানবন্দর, নিরাপত্তারক্ষীরা, বিদেশি দূতাবাস ও ধর্মীয় স্থান। এমন সতর্কবার্তার মধ্যে বাংলাদেশে ইদ উল-আজহা পালিত হবে পয়লা আগস্ট। ওই দিনই বাংলাদেশে ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঘটনাপ্রবাহ অনুযায়ী, সাধারণত নাশকতা চালিয়ে উলায়াত ঘোষণা করা হয়। তাই আইএস জঙ্গিরা বাংলাদেশে বিস্ফোরণ বা হত্যাকাণ্ড-সহ বিভিন্ন নাশকতামূলক বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ঘটাতে পারে। পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মহম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বেঙ্গল উলায়াত বলতে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখা বোঝানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং নিজেদের সদস্যদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন সময়ে তারা এ ধরনের শাখা ঘোষণা করে থাকে।
পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠান চিঠিতে বলা হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ৮টা বা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে পুলিশ সদস্য, পুলিশের স্থাপনা ও যানবাহন, বিমানবন্দর, দূতাবাস, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও মায়ানমার বা এসব দেশের স্থাপনা ও ব্যক্তি এবং শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদ, মাজারকেন্দ্রিক মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডাকে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হামলাকারীর সম্ভাব্য বয়স হবে ১৫ থেকে ৩০ বছর। তাদের হাতিয়ার হতে পারে টাইম বোমা বা গ্রেনেড। ধারাল অস্ত্র যেমন ছুরি-চাপাতি দিয়েও হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.