Advertisement
Advertisement
Bangladesh

খুনিকে চিনে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন! বাংলাদেশের সাংসদ খুনের চিত্র তুলে ধরলেন ঢাকার গোয়েন্দারা

এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Investigators gave new informations about Bangladesh MP murder case
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 28, 2024 7:59 pm
  • Updated:June 28, 2024 7:59 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: খুনিকে দেখেই চিনতে পেরেছিলেন। বিপদ বুঝে পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। গত একমাস ধরে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কমিশনার মহম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, আনোয়ারুল বাঁচার জন্য অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিলেন।       

কীভাবে খুন করা হয়েছিল আনোয়ারুলকে? ধীরে ধীরে এবার পুরোটা স্পষ্ট হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে মহম্মদ হারুন রশিদ ব্যাখ্যা করেন সবটা। তিনি জানান, গত মে মাসে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে ঢুকে মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিহাদকে দেখেই আঁতকে ওঠেন বাংলাদেশের সাংসদ। কারণ, মোস্তাফিজুর রহমানকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে আগে থেকেই চিনতেন তিনি। বাংলাদেশের ভাড়াটে খুনিকে ওই ফ্ল্যাটে দেখতে পেয়েই তিনি বিপদ আঁচ করতে পারেন। বাঁচার জন্য অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিলেন আনোয়ারুল।পরে দৌড় দিয়ে বের হওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আনোয়ারুলের। তার পর ফয়সাল আলি সাহাজি তাঁকে পিছন থেকে জাপটে ধরে মুখে চেতনানাশক ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে রুমাল দিয়ে আনোয়ারুলের নাক চেপে ধরে। অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এর পর ধীরেসুস্থে তাঁকে হত্যা করা হয়। বুধবার খাগড়াছড়ি পাহাড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফয়সাল আলি সাহাজি ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকিরকে। তাদের জেরা করেই এই তথ্যগুলো পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম-ইলিশ পাঠালেন হাসিনা, উপহারের ডালিতে আর কী?

এদিকে এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে কী কারণে নারকীয়ভাবে খুন করা হয়েছে ঝিনাইদহের সাংসদকে তা এখনও জানা যায়নি। রাজনৈতিক, আধিপত্য বিস্তার নাকি হুন্ডি-স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থের ভাগাভাগি? খুনের আসল মোটিভ জানতে তদন্ত চলছে।

Advertisement

এদিকে, আনার হত্যা মামলার অভিযুক্ত আওয়ামি লিগ নেতা কাজি কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাসবাবুর দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের একটি পুকুরে তল্লাশি চালায়। পায়রা চত্বর এলাকার পিপীলিকা মার্কেটের পিছনের পুকুরে ডুবুরি ও মৎস্যজীবীদের জাল নিয়ে অভিযান চালায়। কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাসবাবুকে কঠোর নিরাপত্তায় পুকুরপাড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বাবুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডুবুরিদের নামিয়ে তল্লাশি অভিযান চলে। ওই পুকুরেই দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেয় গ্যাসবাবু। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি গাড়িতে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আনা হয় গ্যাসবাবুকে।

[আরও পড়ুন: পরিচয় লুকিয়ে পাহাড়ি এলাকায় গা ঢাকা, গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ২ অভিযুক্ত

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ