Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বিতর্কের ভয়! জাতীয় সঙ্গীত বদলের ভাবনা নেই, জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

দুর্গাপুজোয় সম্প্রীতি রক্ষায় জোর। ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পুজোর নিরাপত্তায় মাদ্রাসা ছাত্রদের মন্দির পাহারার কাজ দেওয়া হবে।

Interim Govt. of Bangladesh rules out to change National anthem 'Amar Sonar Bangla'
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 7, 2024 7:57 pm
  • Updated:September 7, 2024 8:10 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ‘আমার সোনার বাংলা’য় পরিবর্তন হচ্ছে না। বিতর্কের ভয়ে জাতীয় সঙ্গীত বদলের ভাবনা থেকে সরে এল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার সকালে বাংলাদেশের উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন বলেন, ”জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন কিছু অন্তর্বর্তী সরকার করবে না।”

জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত গত বুধবার। বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির বদলে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে অন্য গানের দাবি তোলেন। তাঁর ‘গোঁড়া’ যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয়। পাশাপাশি গানটি ইসলামিক ভাবধারাতেও রচিত নয়। তাই ওই গান কেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে? এনিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নীরবতাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অন্য ট্রেন্ড, পুজোয় সরকারি অনুদান নিচ্ছে নতুন ৩ ক্লাব!]

অন্যদিকে, দুর্গাপুজোয় এবার মণ্ডপ পাহারায় থাকবে মাদ্রাসার ছাত্ররা। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে এমনই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মহম্মদ ইউনুস। অক্টোবরে বাংলাদেশে হিন্দুদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। প্রতি বছর ২৯ হাজারের কিছু বেশি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। সরকার থেকে অনুদান দেওয়া হয়। রাজধানী ঢাকায় পাঁচশোরও বেশি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ গড়া হয়। এবার সেসবের দায়িত্বে থাকবে মাদ্রাসার ছাত্ররা। ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টাও খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর নিরাপত্তায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে নিয়ে হাসপাতালে রণবীর, গণেশ চতুর্থীর দিনই সন্তানের জন্ম?]

খালিদ হোসেনের আরও বক্তব্য, ”ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায়, তারা মানবতার শত্রু। তারা অপরাধী। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। মাদ্রাসা ছাত্ররা কোনও জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।” তিনি আরও বলেন, ”পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement