Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ঢাকায় ভারতের ‘বিক্রম’, ইউনুসকে স্পষ্ট বার্তা, ‘হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’

সীমান্তের ওপারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা থেকে উপাসনাস্থলে হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকার কী ভূমিকা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

Indian foreign secretary met Bangladesh counterpart, asks to ensure minority safety

ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। ছবি: এএনআই।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 9, 2024 3:49 pm
  • Updated:December 9, 2024 6:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তের ওপারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা থেকে উপাসনাস্থলে হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। এধরনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এল বাংলাদেশ-ভারতের বিদেশ সচিবের সোমবারের বৈঠকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকার কী ভূমিকা, তাও জানতে চেয়েছে নয়াদিল্লি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি।

ভারতীয় বিদেশ সচিবের কথায়, “আগস্ট পরবর্তী সময় বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। সেই সময় থেকেই দুদেশের নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে বসার পর ড. মহম্মদ ইউনুসকে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেও দুজনের মধ্যে টেলিফোনে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। দুদেশের বিদেশ সচিব এবং বিদেশ উপদেষ্টার মধ্যেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা চলাকালীন দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরূপ আমার ঢাকা সফর। এই প্রথম সরকারিভাবে দুদেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হল।” এদিন ঢাকায় দুদেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক হয়। দুপক্ষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত, খোলামেলা এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানান মিসরি। কী কী বিষয় কথা হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে?

Advertisement

বিদেশ সচিব জানান, “ভারত চায়, আগের মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে  দ্বিপাক্ষিক ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। উভয় দেশ যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায়।” ১২০ মিনিটের টানা বৈঠকে উঠে এসেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে বিক্রম মিসরি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক পরিকাঠামোয় হামলা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছি।” এ বিষয়ে নয়াদিল্লি বাংলাদেশের কাছ থেকে সদর্থক পদক্ষেপ আশা করে বলেও জানান বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনকে জানিয়েছেন মিসরি। 

 

কূটনৈতিক মহল মনে করেছিল, দুপক্ষের আলোচনায় শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে। এ প্রসঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে এদিন বিকেল পাঁচটায় মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক বিক্রম মিসরির। সেখানে হাসিনা, তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ উঠে আসে কি না, সেদিকে নজর থাকবে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement