সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণের জেরে নাজেহাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। টিকার পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় ধাক্কা খেয়েছে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই। আর ভ্যাকসিনের জোগান নিয়েই চলছে ঢাকা-নয়াদিল্লি টানাপোড়েন। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে দ্রুত টিকার জোগান দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী।
পাঁচদিনের ভারত সফর শেষে শুক্রবার আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে সীমান্তপথে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী নোম্যান্সল্যান্ডে সাংবাদিকদের বলেন, “ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহে ভারত ইতিবাচক এবং এ নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। ভারতের দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ভারতের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রাধান্য দিয়েই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহে ভারত ইতিবাচক। এনিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ব্যবসা বাণিজ্য দিন দিন প্রসার ঘটছে। বিশেষ করে গত বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ- ভারত দু’দেশের আমদানি বাণিজ্য বেড়েছে।”
উল্লেখ্য, মহামারী করোনার (Corona virus) সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি করছে বাংলাদেশ। প্রথমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেই ভ্যাকসিন চেয়ে পাঠায় হাসিনা সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই টিকা দিয়েই দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় মাঝে টিকা রপ্তানি বন্ধ ছিল সেরামের তরফে। ভারত ছাড়াও চিন, রাশিয়া থেকেও টিকা কিনছে বাংলাদেশ। এদিকে, WHO’র আন্তর্জাতিক টিকাকরণ প্রকল্প ‘কোভ্যাক্স’-এর আওতায় বাংলাদেশও বেশ কিছু টিকা পাবে আমেরিকার ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তরফে। সবমিলিয়ে, প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হবে বাংলাদেশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.